সৌদি আরবে কেন নিষিদ্ধ হলো বাঙালীরা

 

  সৌদি গেজেট জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর সব ধরণের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। এসব দেশ থেকে প্রবাসীরা সরাসরি সৌদি আরবে আসতে পারবে না। তবে কেউ  যদি ওই দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে আসতে চান, তৃতীয় কোনো দেশে তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের পর তারা সৌদি আরব আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পাসপোর্ট অধিদফতর।


ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত দেশগুলো হলো : বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, লেবানন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রবাসীরা সৌদি আরবে আসার ১৪ দিন আগে এসব নিষিদ্ধ দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। তখনও এসব দেশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
উল্লেখ্য, সৌদি নাগরিক, কূটনীতিক ও স্বাস্থ্যকর্মী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত দেশসমূহ থেকে দেশে ফিরতে কোনো বাঁধা নেই।

এবার কোনো ধরণের পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হজে যাওয়ার অনুমতি দিল সৌদি আরব। ১৩ জুন ২০২১ রোববার  হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে  এই সংবাদ জানােনা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো মাহরাম বা পুরুষ আত্মীয় সাহচর্যের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই নারীরা হজের আবেদন করতে পারবেন।

এদিকে মহামারী করোনা সংক্রমণের কারণে চলতি বছরেও বিদেশি কেউ হজের অনুমতি পাচ্ছেন না। সৌদি আরবের নাগরিকদের মধ্যে যারা গত পাঁচ বছর হজ করেননি, কেবল তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৬০ হাজার ব্যক্তি হজের অনুমতি পাচ্ছেন। হজের জন্য ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরাই শুধু অনুমতি পাবেন। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজের আওতায় এই বছর হজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ব্যাপক সংক্রমণের কারণে গত বছর প্রথম বারের মেতা বিদেশী নাগরিকদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয় মক্কা-মদিনার অভিভাবকেত্মর দায়িত্ব পালনকারী সৌদি আরব। দেশটির নাগরিক ও বাসিন্দাদের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ব্যক্তিকে করোনা সংক্রান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হজের সুযোগ দেয়া হয়।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম লাইফ সাপোর্টে

লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত সাদিক খান